বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫, ০৭:৩১ অপরাহ্ন

রাণীশংকৈলে ভুট্টাক্ষেত থেকে মাদ্রাসার ছাত্রের লাশ উদ্ধার

রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি::

ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার নেকমরদ ইউপির পারকুন্ডা দিঘীয়া এলাকায় এক কিশোর খুন হয়েছেন। নিহতের নাম শামীম (১৮)। সে শামসুল আলমের ছেলে।

একই এলাকার মৃত নুর মোহাম্মদ চোখা মিয়ার ছেলে খুনি হাসানকে এঘটনায় গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার (৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় নিখোঁজ হয় শামীম। পরে অনেক খোঁজাখুঁজি করার পর রাত এগারোটায় ভুট্টাক্ষেত থেকে উদ্ধার করা হয় শামীমের নিথর দেহ। লাশ উদ্ধারের পর সন্দেহজনক ভাবে আটক করা হয় একজনকে। পরে ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল ও থানা পুলিশের সামনে হত্যার কথা স্বীকার করে আসামী হাসান। একাই শামীমকে মাটিতে মাথা চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর তার হাত পা বেধে রাখে বলে পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি দেয়।

আসামীর স্বীকারোক্তির বরাতে ইউপি সদস্য ইলিয়াস আলী বলেন, “বেশি দামের মেমোরী কার্ড কম দামে বিক্রি। কেন কম দামে বিক্রি ঘটনা উদঘাটন। পরে জানা গেল মেমোরীও চুরি করা। এক পর্যায়ে এক বছর আগে শামীমের বাড়ী থেকে চুরিকৃত নয় হাজার টাকার তথ্যও উদঘাটন।

এবার সেই উদঘাটনের স্বীকারোক্তি মোবাইলে রেকর্ডিং করলেন শামীম। আর সেই চুরিকৃত টাকা ফেরত না দিলে মেমোরী চুরি ও টাকা চুরির রেকর্ডিং স্থানীয়দের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয় শামীম।

হুমকিতে মান সম্মানের ভয় পেয়ে এবার চুরিকৃত টাকা আপসে ফেরত দিতে শামীমকে ডেকেছিলো তাদের বাড়ী থেকে কিছুটা দুরে এক ভুট্টাক্ষেতে একই এলাকার বাল্য বন্ধু হাসান। তবে বিরোধবাধে নয় হাজার টাকার বদলে ২৫০০ টাকায় চুরির সমাধান করা। হত্যার স্বীকার শামীম ২৫০০ টাকায় মানবে না। আর চোর বন্ধু হাসান সেই টাকার বেশি দিতে পারবে না। ঘটনা ধামা চাপা দিতেই বাধ্য হয়ে শামীমকে শ্বাসরোধে হত্যা করে ভুট্টা ক্ষেতে ফেলে রাখে হাসান।”

ঘটনার তদন্তকারী রাণীশংকৈল থানার পরিদর্শক(তদন্ত) খায়রুল আনাম ডন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, হাসানকে হত্যা মামলায় ঠাকুরগাঁও জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আর লাশ উদ্ধার করে পাঠানো হয়েছে ঠাকুরগাঁও মর্গে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com